হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামে ৭ বছরের শিশু’কে ধর্ষণ করে ৫০ বছরের বৃদ্ধ সোনাফর মিয়া। গত ১৫-০৬-২০২২ ইংরেজি রোজ বুধবার, দুপুরে নৃশংস ঘটনাটি ঘটে এক দিনমজুরের ৭ বছরের কন্যার সাথে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এইসমস্ত অপকর্ম, রাজাবাদ গ্রামে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল ৭ বছরের শিশু কন্যার পরিবার’কে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়েয় ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছে, এবং ৭ বছরের শিশু কন্যার পিতা, ভয়ে গণমাধ্যমকর্মীকে বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ পেয়েছেন। বুধবার রাতে ৭ বছরের শিশু কন্যার পিতা ও শিশু কন্যার মামা, নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিশুর জবানবন্দি পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ৫ো বছরের সোনাফর কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ন্যায় বিচার পায়নি শিশু কন্যার পরিবার নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানান উত্তেজনা বিরাজ করছে, পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামের মানুষ সিতল হয়ে পরছে এই ঘটনা দেখে। শিশু কন্যার পিতা গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, আমি লিখিত দেওয়ার পর থানা পুলিশ সোনাপরকে গ্রেফতার করছে বুধবার রাত ১২,৩০ মিনিটে, একই রাতে তাকে ছেড়ে দেয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ১৬-০৬-২০২২ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি সোনাফর মুক্তি পেয়ে গেছেন, আমার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয় টা নাকি শেষ করে দিবেন, আমার প্রশ্ন একটাই আমার মেয়ে’র পাপ্ত বয়স হওয়ার পর, আমার শিশুবেলার কথাটি তার মনে আসবে তখন কি আমার সম্মান ফিরিয়ে দিতে পারবে গ্রামের গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ’রা শিশু কন্যার পিতা আরও বলেন, আমি থানায় মামলা দায়ের করছি এই জন্য, যে নরপিশাচ সোনাফর আমার ৭ বছরের শিশু কন্যার সাথে যে নৃশংস কাজটি করেছে তার সঠিক বিচার হওয়ার জন্য। আমি সঠিক বিচার পাইনি এদেশের আইনের কাছে, মামলা দায়ের করছিলাম করেই লাভ কি হল আমার। আমার মাসুম বাচ্চা থানায় জবানবন্দি দেওয়ার পরও পুলিশ তাকে কিভাবে ছেড়ে’দেয় চোখে অশ্রু টলটল করে গণমাধ্যমকর্মী’কে আরও বলেন, এই গ্রামে আমাদের সন্তানের কোনো নিরাপত্তা নেই, নিরপরাধ রয়েছে তাদের সন্তানের, যাদের প্রভাব এবং শক্তি রয়েছে আমাদের সন্তানের কোনো নিরাপত্তা নেই। শিশু কন্যার মা গণমাধ্যমকর্মী’কে বলেন আজ যদি আমাদের অনেক টাকা অনেক লাঠি থাকতো তাহলে, সোনাফরের শালা হুমায়ূন কবির আমার পরিবারকে কুৎসা প্রচারের সাহস পেতেন না, গরীব এর ন্যায় বিচার নেই এ দেশে। শিশু কন্যার মা আরও বলেন, আজ আমাদের গ্রামের মুরুব্বি’রা যে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে শেষ করেছে, কাল যখন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমাদের গ্রামের মহিলারা আমাকে কি বলবে আমি তাদের জবাবে কি দিব সামাজিক বিচারে ধর্ষকের বিচার এটাই, পা-হাতে ধরে বা কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক’রা, কাল ধর্ষণের পাবলিসিটি করবেন গ্রামের মহিলা’রা।
Leave a Reply